খুলনা ও বরিশালে বিজ্ঞানচিন্তা-বিকাশ বিজ্ঞান উৎসব

খুদে বিজ্ঞানীদের দারুণ সব উদ্ভাবনী প্রকল্পসহ আরো নানান আয়োজনে গত শুক্রবার ও শনিবার অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজ্ঞানচিন্তা-বিকাশ বিজ্ঞান উৎসব’-এর খুলনা ও বরিশাল পর্ব। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড ও বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন বিজ্ঞান চিন্তার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা, রোবট প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ম্যাজিক, বিজ্ঞানের মজার বইয়ের সঙ্গে পরিচিতি, সাংস্কৃতিক পর্বসহ বিভিন্ন আয়োজন শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। উৎসবে উভয় অঞ্চলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনের সুযোগ পায়।
বরিশাল অঞ্চলের বিজ্ঞান উৎসব উদ্বোধন করেন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর সাইদুল ইসলাম মজুমদার। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সর্টানাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, বিজ্ঞানচিন্তা সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার, সহসম্পাদক আবদুল গাফফার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো. ইরফান ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মোরশেদ আহমেদ অভি।
বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আরো বাড়ানোর জন্য প্রথমবারের মতো সারা দেশের সাতটি অঞ্চলেই আয়োজিত হচ্ছে এই বিজ্ঞান উৎসব। ঢাকায় শুরু হয়ে পরে চট্টগ্রাম ও রংপুরে এই উৎসব আয়োজিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম আয়োজন হিসেবে বরিশাল অঞ্চলের উৎসব হয়ে গেল।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) খুলনা পাবলিক কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে খুলনা অঞ্চলের এই বিজ্ঞান উৎসব। সামনে আরো দুটি বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজশাহীতেও উৎসব আয়োজনের পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে গ্র্যান্ড ফাইনাল।
বিজ্ঞান উৎসব সম্পর্কে বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আরো উদ্বুদ্ধ করতে এবং পাশে থাকতে পেরে বিকাশ গর্বিত। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলে এবং তাদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে এই বিজ্ঞান উৎসব ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশ আজ তথ্যপ্রযুক্তির এক বিশাল হাইওয়েতে উঠে গেছে। এখান থেকে শুধুই সামনের দিকে এগোতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্যে পরিণত হচ্ছে। তাই, এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং দেশের মেধাবীদের দেশেই সঠিক মূল্যায়ন করতে বিজ্ঞানচর্চার কোনো বিকল্প নেই। এ রকম বিজ্ঞান উৎসব শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি মনে করেন।