বিশ্বজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ওয়ালটন : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ওয়ালটন সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা বিশ্বজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রযুক্তিবিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে ওয়ালটন।
গতকাল সোমবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ওয়ালটন কারখানায় তৈরি প্যাশনবিএক্স মডেলের নতুন একটি ল্যাপটপের উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দীন। দুপুরে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে দেশে তৈরি একটি ল্যাপটপ হাতে নিয়ে দেখছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ছবি : ওয়ালটন
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মজিবর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী হাফিজুল আমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও লিয়াকত আলী, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এর আগে ২০১১ সালে আফ্রিকায় ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করতে আমি এখানে এসেছিলাম। এই আট বছরে ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অভাবনীয় সাফল্য আমাকে বিস্মিত করেছে। তারা দেশেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন এবং দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বহির্বিশ্বে রপ্তানি করছে। বিশ্বদরবারে ওয়ালটন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা আমাদের সবার জন্য গর্বের।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দীনকে স্বাগত জানাচ্ছেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম। ছবি : ওয়ালটন
এর আগে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তাঁরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিন পর্যবেক্ষণে যান। পর্যায়ক্রমে তাঁরা ওয়ালটনের কম্প্রেসর, এয়ারকন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন হোম, কিচেন ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।