বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা সিপিডির
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় অঙ্কের ঘাটতির আশঙ্কা করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম ছয় মাসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিপিডি কিছু সুপারিশ তুলে ধরে।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে মনে করছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, অর্থনীতিতে স্থিতি আছে, তবে চাঞ্চল্য নেই। আর কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ চাঙ্গা করা জরুরি। তবে এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ঠেকাতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সিপিডি।
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজস্ব ও বৈদেশিক সাহায্যের ঘাটতি পরে ব্যাংকের থেকে ঋণ নিয়ে মেটানো হয়। এটা একটি প্রচলিত কাঠামো। এভাবেই চলছে। যদি সরকার সাহসিকতার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গাতে সংস্কার না করেন, তাহলে মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশে অর্থনীতির যে পূর্ণ সম্ভাবনা, সেটাকে বাস্তবায়ন বা কার্যকর করা যাবে না।’
সিপিডি বলছে, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলায় নজর দিতে হবে সরকারকে। বিশেষ করে খারাপ ঋণ কমিয়ে আনা প্রয়োজন। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা সমন্বয় করলে তা অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো উচিত বলে মনে করে সিপিডি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির গুণগত বাস্তবায়নে আরো জোরালো উদ্যোগের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।