দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্তির অনুমতি পেয়েছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড। 

গতকাল সোমবার ডিএসইর পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬০তম সভায় ডরিন পাওয়ারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও)  অনুমোদন দেওয়া হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও খসরুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ আগামী ছয় মাসের জন্য ডরিনের আইপিও আবেদনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। দুজন বিনিয়োগকারীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ স্থগিতাদেশ দেন আদালত। 

পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার কোম্পানির আইপিওতে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ চার সপ্তাহের জন্য প্রত্যাহার করে। 

এর পর ১০ মার্চ ডরিন পাওয়ারের আইপিও লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। 

কোম্পানিটি দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে মোট ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে দুটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে ডরিন পাওয়ার।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া হিসাব বছরে ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৮৭ পয়সা। আর গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি গড় আয় হয়েছে তিন টাকা ১৯ পয়সা। 

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।