২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৭০ শতাংশ
২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা ৭০ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁদের শঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কনফারেন্স কক্ষে ‘গ্লোবাল অ্যানুয়াল রিভিউ অব বায়োটেক/জিএম ক্রপস’ শীর্ষক এক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর দ্য অ্যাকুজেশন অব অ্যাগ্রি-বায়োটেক অ্যাপ্লিকেশনস (আইএসএএএ), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ( বিএআরআই) ও ব্র্যাক।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
সভায় বক্তারা জানান, বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ১৯৫০ সালে যা ছিল ২৫০ কোটি বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪০ কোটি। ২০৫০ সালে তা আরো বেড়ে ৯৫০ কোটিতে দাঁড়াবে। এই সময়ের মধ্যে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৭০ শতাংশ।
সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর দ্য অ্যাকুজেশন অব অ্যাগ্রি-বায়োটেক অ্যাপ্লিকেশনসের (আইএসএএএ) গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর ড. রেন্ডি এ হুটিয়ে বলেন, বিগত দুই দশকে ট্রানজেনিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে। জেনেটিক্যাল পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদিত জিএম ফসলের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। বর্তমানে ২৮টি দেশে এক কোটি ৮০ লাখ কৃষকের মাধ্যমে ১৮ কোটি ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে জিএম ফসলের আবাদ হচ্ছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা চিহ্নিতকরণে জৈবপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।
সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. মো রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বিটি বেগুন ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদনের অনুমোদন কৃষির উন্নয়নে সঠিক পথ নির্দেশনার একটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিএআরআই প্রচুর পরিমাণে বিটি বেগুন বীজ উৎপাদন করে এবং কৃষকদের কাছে তা বিতরণ করে। বাংলাদেশের ১৯টি জেলায় প্রায় ১১০ জন কৃষক কীটনাশক ছাড়া শুধু বিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভজনকভাবে উন্নতমানের ফসল আবাদ করছেন।
দরিদ্রদের জন্য বায়োটেকনোলজি ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান বক্তারা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা।