বাংলাদেশের আগে ইকুয়েডরের ব্যাংকে হামলা!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মতো সাইবার আক্রমণের শিকার তৃতীয় ব্যাংকের নাম প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রকাশিত তৃতীয় এই ব্যাংকে বাংলাদেশে রিজার্ভ চুরির আগেই একই প্রক্রিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাবিষয়ক ওয়েবসাইট আইবিএস ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মেসেজিং নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফটের সিস্টেমে প্রবেশ করে হামলার শিকার তৃতীয় ব্যাংকটি ইকুয়েডরের। এই ব্যাংকটির নাম বানকো দেল অস্ট্রো।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইকুয়েডরের ব্যাংকে সুইফট সিস্টেমে ঢুকে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে গত বছরে। আর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এ বিষয় নিয়ে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি একটি মামলাও হয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, সাইবার অপরাধীরা সে সময় ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল। লস অ্যাঞ্জেলেস এবং দুবাইভিত্তিক ব্যাংকে যথাক্রমে ১ দশমিক ৫ ও এ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়। যেটা পরে স্থানান্তরিত হয়েছে হংকংয়ের কয়েকটি ব্যাংকে। দেল অস্ট্রো ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, সে সময় ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
বানকো দেল অস্ট্রো ব্যাংকের একটি ফাইলের তথ্যানুযায়ী, অর্থ স্থানান্তরে একটি অননুমোদিত ব্যবহারকারী, প্রত্যেকে ইন্টারনেট ব্যবহার, ম্যালওয়্যার দূরবর্তী অ্যাক্সেস অনুমতি সুইফট নেটওয়ার্কের লগিং সিস্টেমের মধ্যে গিয়ে হ্যাক করেছিল। তবে ইকুয়েডরের ব্যাংকের ঘটনায় কোনো কিছু অবহিত না থাকার দাবি করেছে সুইফট।
ওই চুরির পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফট ব্যবহার করে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে এক বিবৃতিতে সুইফট জানায়, ভিয়েতনামের একটি ব্যাংকও সুইফট সিস্টেমের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এ পর্যন্ত তিনটি ব্যাংক থেকে অর্থ চুরিতে সুইফট ব্যবহার করা হয়েছে।