সিইটিপি চালু হচ্ছে কুমিল্লা ইপিজেডে
কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) চালু হচ্ছে দেশের তৃতীয় কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি)। সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ের এই সিইটিপি থেকে প্রতিদিন ১৫ হাজার ঘনমিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে এই এলাকার পানিদূষণ কমবে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। আগামীকাল সোমবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প কল-কারখানার তরল বর্জ্য থেকে ব্যাপক হারে পানি দূষণ হয়ে থাকে। প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখনো চালু করতে পারেনি তাদের নিজস্ব ইটিপি।
urgentPhoto
এ পরিস্থিতিতে কুমিল্লা ইপিজেডের সব কল-কারখানার জন্য সম্মিলিতভাবে চালু হচ্ছে সিইটিপি।
সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এই সিইটিপির মাধ্যমে রাসায়নিক ও জৈবিক উভয় পদ্ধতিতেই তরল বর্জ্য পরিশোধন করা হবে। প্রতিদিন কুমিল্লা ইপিজেটের ১৫ হাজার ঘনমিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে নির্গমন করা হবে।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বিইপিজেডএ) মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, ‘দুই বছর আগে এই প্রকল্পের জমি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। আড়াই একর জমির ওপর এ প্রকল্প গড়ে উড়েছে। বর্তমানে ৩৭টি ফ্যাক্টরি চালু আছে। এর মধ্যে ১১টি ফ্যাক্টরি যে ধরনের প্রডাক্ট তৈরি করে, তার জন্য এই ধরনের পানি শোধনের প্রয়োজন হয়। যদি এই ধরনের ফ্যাক্টরির সংখ্যা আরো বাড়ে, এই প্রকল্পে পরিশোধনক্ষমতা পর্যায়ক্রমে আরো বাড়ানো হবে।’
সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের পরিচালক (পরিচালন) মির্জা মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘পরিবেশের যেন কোনো রকমের ক্ষতি না হয়, সেভাবে আমরা চেষ্টা করি। এটা হলে এখানে যে জীববৈচিত্র্য আছে, তা রক্ষা পাবে।’
দেশে মোট ইপিজেডের সংখ্যা আটটি। ঢাকা, চট্টগ্রামের পর এবার তৃতীয় সিইটিপি চালু হতে যাচ্ছে কুমিল্লায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ধারাবাহিকভাবে সব ইপিজেডে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করা হবে। আর পৃথকভাবে সব শিল্প-কারখানায় যদি ইটিপি চালু করা হয়, তবে পানি হবে দূষণমুক্ত এবং পরিবেশে টিকে থাকবে ভারসাম্য।