ঈশ্বরদীতে রেললাইনে দৌড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে ইপিজেড কর্মী নিহত
পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী রেলওয়ে লাইনে দুই বন্ধু দৌড়াতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তানজিত আহমেদ রাতুল (১৮) নামের এক ইপিজেডকর্মী নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন ইপিজেডের একই কোম্পানির আলিপ (১৮) নামের আরেক যুবক।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে পাকশী রেলওয়ে লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বনকিশোর গ্ৰামের মো. জিয়ারুল ইসলামের ছেলে তানজিদ আহমেদ রাতুল।
আহতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার বড়ইচরা এলাকার মো. মাহাবুবের ছেলে আলিপ হোসেন। তারা দুজনই ঈশ্বরদী ইপিজেডে তিয়ানি কোম্পানির অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহত আলিপকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত আলিপ হোসেন বলেন, প্রতিদিনই আমরা দুই বন্ধু রাতে দৌড়াতাম। ইপিজেড ছুটির পরে রাতুলের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেই রাতে আমরা দৌড়াবো। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইপিজেড গেট থেকে দৌড়ানো শুরু করে একপর্যায়ে রূপপুর সাঁকোর মুখ থেকে পাকশি রেললাইনের ওপরে উঠে ভেড়ামারার দিকে দুজন দৌড়ানো শুরু করি। কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখতে পাই যে ট্রেন আসছে। ঠিক বুঝে উঠতে পারি না কোন লাইন দিয়ে ট্রেনটি আসছে। এর জন্য বাম সাইড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম আমি আর রাতুল। রাতুল রেললাইনের মাঝামাঝি ছিল আর আমি সাইড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনের ধাক্কায় আমি ছিটকে পড়ি। ট্রেন চলে গেলে দেখতে পারি রাতুল ট্রেনে কাটা পড়ে কয়েক টুকরা হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছে। তখন আমি হতভম্ব হয়ে ওখানে বসে পড়ি। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আমাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল রহমান বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে থানা পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের পরিবারের কোন দাবি না থাকায় তার পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।