পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফলের দামে বিস্তর ফারাক
ফলন ভালো হওয়ায় চলতি বছর সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই মৌসুমি ফলের দাম থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফলের দামে বিস্তর ফারাক। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে অধিকাংশ ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। যদিও আড়তদাররা মনে করছেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে মৌসুমি সব ফলের দাম কমে যাবে।
রাজধানীর ফলের বাজার এখন পুরোটাই দেশি ফলের দখলে। আম-জাম-লিচু-কাঁঠাল সব আছে বাজারে। এসব ফল যেন মানুষের রসনা মেটানোর অপেক্ষায়। কেবল স্বাদের জন্যই নয়, দেশি ফলের রং, রূপ ও বৈচিত্র্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। urgentPhoto
এদিকে মৌসুমি ফলে বিষ প্রয়োগ ঠেকাতে আড়তগুলোকে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে গোয়েন্দারা।
পুরান ঢাকার ফলের আড়তদাররা মনে করেন, এবার ফলন ভালো হওয়ায় মৌসুমি প্রায় সব ফলের দাম নাগালের মধ্যেই থাকবে।
বাদামতলীর ফলের আড়তদার এলেম বিশ্বাস বলেন, ‘এবার মোকামে আমের আমদানি প্রচুর। এবার গরিব-ধনী সবাই কম দামে আম কিনে খেতে পারবে।’
এরই মধ্যে রাজধানীর আমের বাজার দখল নিয়েছে সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের আম। বাদামতলীর পাইকারি বাজারে হিমসাগর, গোপালভোগসহ নানা জাতের আম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আকার ভেদে মাঝারি আকারের একটি আনারসের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা। লিচু ১০০ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে জামের বাজার কিছুটা চড়া; বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিদরে। আর এখনো বাজারে আধিপত্য রয়েছে তরমুজের। আকারভেদে দামের ভিন্নতা আছে। জাতীয় ফল কাঁঠাল বাজারে এখনো তেমন ওঠেনি। সাশ্রয়ী দামে কাঁঠাল কিনতে আরো ১০-১২ দিন অপেক্ষা করতে হবে। আড়তদাররা বলেন, লিচু আর ১০ থেকে ১৫ দিন বাজারে থাকতে পারে।
নগরীর খুচরা ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় অধিকাংশ ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা আম বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় আম বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য ফলের ক্ষেত্রেও রয়েছে দামের বিস্তর ফারাক।