ক্রিকেটে ‘হোম সিরিজে’র স্পন্সর ওয়ালটন

ক্রিকেটে আগামী দুই বছরের জন্য হোম সিরিজের স্পন্সর হলো ওয়ালটন। দুই বছরে মোট ছয়টি হোম সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ওই সিরিজগুলোর পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলো বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ‘ওয়ালটন।’
ওয়ালটনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত ১৮ অক্টোবর ওয়ালটন এবং কে স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তিতে সই করেছেন কে স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ এম এ করিম এবং ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। কে স্পোর্টসের গুলশান অফিসে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কে স্পোর্টসের পরিচালক আশফাক আহমেদ, ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মিল্টন আহমেদ এবং কে স্পোর্টসের চিফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুর রশীদ।
চুক্তির আওতায় গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিংয়ে ওয়ালটনের পেরিমিটার বোর্ড, উইকেটের উভয় পাশে থ্রিডি বোলিং পিচ ম্যাট, মিড ওয়াল বোর্ড, বাউন্ডারি রোপ, সাইট স্ক্রিন, প্রেজেন্টেশন ব্যাক ড্রপ, রোমান ব্যানার ইত্যাদিতে ওয়ালটনের লোগো ও পণ্য প্রদর্শিত হবে। থাকছে আরো কিছু সুবিধা।
চুক্তি বিষয়ে কে স্পোর্টসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহাদ এম এ করিম বলেন, ‘ওয়ালটন এখন একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, প্রাউড বাংলাদেশি ব্র্যান্ড। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশ-বিদেশে ক্রিকেটের সঙ্গে আছে। তাদের সঙ্গে দুই বছরের জন্য হোম সিরিজের চুক্তি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা যৌথভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় সবগুলো বড় ইভেন্টের স্পন্সর ওয়ালটন। ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরেও ওয়ালটন প্রায় নিয়মিত। আমরা সবসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিজয় ঝাণ্ডা উড়াতে চাই, সেই সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের পজিটিভ ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে চাই।’ দীর্ঘমেয়াদি স্পন্সরশিপ চুক্তি করতে পারায় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং কে স্পোর্টসকে ধন্যবাদ জানান।
আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ‘ইনস্টেডিয়া রাইটস’ বা ‘গ্রাউন্ডস রাইটস’ কিনে নিয়েছে কে স্পোর্টস। চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশের হোম সিরিজ রয়েছে মোট ছয়টি।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে রোববার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে প্রথম সিরিজ। এরপর আগামী মাসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগানিস্তান আসবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। ২০২০ সালে দুইবার অস্ট্রেলিয়ার আসার কথা। প্রথমবার ফেব্রুয়ারিতে, দ্বিতীয়বার মার্চে। তবে শেষ পর্যন্ত দুটো সিরিজ মিলিয়ে একটিও হতে পারে। আবার ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ে আসবে এক টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্ট খেলতে।