মেরিটাইম ও রিভারাইন সলিউশন প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভারাইন টেকনোলজিস লিমিটেড দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোর এক্সপো ২০২৩ (বিমক্স ২০২৩) এর ৫ম সংস্করণের প্রধান স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করে।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের প্রিমিয়ার মেরিটাইম এবং অফশোর প্রদর্শনী হিসেবে এর মর্যাদাকে আরও শক্তিশালী করে। এই এক্সপো বিশ্বজুড়ে এই শিল্পের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক ও উৎসাহীদের একত্রিত করে।

এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভারাইন টেকনোলজিস লিমিটেড এই প্রদর্শনীতে সামুদ্রিক প্রযুক্তিতে নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে। তাদের উপস্থাপনায় মিৎসুবিশি মেরিন ইঞ্জিনস, মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এর একটি বিভাগ যারা শক্তিশালী ইঞ্জিন সরবরাহ, অবকাঠামো, শিল্প যন্ত্রপাতি, সামুদ্রিক যন্ত্রপাতি, মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত যান্ত্রিক শিল্পের পাওয়ার হাইজ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত।

এসিআই মেরনি ও রিভারাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের অংশগ্রহণের একটি উল্লেখযোগ্য হাইলাইট ছিল ২৭৮ থেকে ২০০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত মেরিন ইঞ্জিনের প্রদর্শন। এই ইঞ্জিনগুলো অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্রগামী জাহাজ, ড্রেজার, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজ এবং আরও অনেক কিছুতে মহুমুখী অ্যাপ্লিকেশন অফার করে, যা শিল্পের চাহিদা মেটাতে কোম্পানির সক্ষমতা প্রদর্শন করে।

বিমক্স ২০২৩ প্রদর্শনে এসিআই মেরিন এবং বিভারাইন টেকনোলজি লিমিটেডকে শিল্প সমকক্ষ, স্টেকহোল্ডার ও শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্রত্যাশিত প্লাটফর্ম প্রদান করেছে। বাংলাদেশের মেরিটাইম ও অফশোর সেক্টরের ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন।

মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ইঞ্জিন অ্যান্ড টার্বোচার্জ লিমিটেড, জাপানের তাকাহিরো উমেমুরা এবং মিৎসুবিশি হেভি ইঞ্জিন সিস্টেম, এশিয়ার হুংওয়াই লি এর উপস্থিতি আন্তর্জাতিক স্তরে এই ইভেন্টের তাৎপর্য বৃদ্ধি করবে।

এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভারাইন টেকনোলজিস লিমিটেড এ বিমক্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণ তাদের সামুদ্রিক ও নদীপ্রযুক্তির অগ্রগতির প্রতি আগ্রহের প্রমাণ। মিৎসুবিশ মেরিন ইঞ্জিনের সাথে তাদের অংশীদারিত্ব এই শিল্পে অগ্রগামী হিসেবে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে; যা বাংলাদেশের সমুদ্র এবং অফশোর সেক্টরে অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের জন্য আশাব্যঞ্জক।