বিকল্প জ্বালানিতে না গেলে ডলার সংকট কমবে না : সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) দাবি, দেশে আমদানিকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেভাবে দেশীয় জ্বালানির উত্তোলনে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যে কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন গ্যাস কূপ না করলেও পুরাতন গ্যাস কূপের সংস্কার যথা সময়ে হলেও এই সংকট হতো না। যত দ্রুত সম্ভব আমদানি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। বিকল্প জ্বালানির দিকে যেতে না পারলে ডলার সংকট দূর করা সম্ভব না।
রাজধানীতে সিপিডি কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিরেক্টর রিসার্চ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন। প্রতি তিন মাস পরপর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কার্যক্রম ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম কোয়াটারের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর ‘রিপোর্ট পরিবর্তনের পথে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত’ প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. মোয়াজ্জেম জানান, বিদেশি সরবরাহকারীদের কাছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ৬৭০ মিলিয়ন ডলার ও পেট্রোবাংলার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বকেয়া পড়েছে। আমদানি প্রবণতার কারণে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের ৬৭০ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট বকেয়া পড়েছে বিপিসির। অন্যদিকে পেট্রোবাংলার এলএনজি আমদানি বাবদ বকেয়া পড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো। এই দায় মেটাতে পেট্রোবাংলা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছে ছয় মাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সিন্ডিকেট ঋণ নিচ্ছে। সিন্ডিকেট ঋণ সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তি মনে হলেও বিপদ বাড়াবে। আমরা এখনই বকেয়া পরিশোধ করতে পারছিনা, এর সঙ্গে সুদসহ বোঝা যুক্ত হচ্ছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের ৫১ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেকার পড়ে থাকছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র এক সময় উদ্বৃত্ত ছিল, এখন উদ্বৃত্ততর থেকে বাহুল্য হয়ে গেছে। যা মাথা ব্যাথার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করা উচিত হবে না।