৩২ কোটি টাকার সিগারেট জব্দ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের হেরিটেজ টোব্যাকো এবং ভৈরবের তারা টোব্যাকোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩২ কোটি টাকার সিগারেট ও স্ট্যাম্প জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। এতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ২৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাবের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর দুটি টিম কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের হেরিটেজ টোব্যাকো ও ভৈরবের তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোতে অভিযান চালায়। এবিষয়ে বিভাগীয় মামলা দায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন এনটিভি অনলাইনকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযানে হেরিটেজ টোব্যাকো হতে আসল ও নকল ব্যান্ডরোল মিশ্রিত নিম্নস্তরের এক লাখ ৬০ হাজার শলাকা সিগারেট এবং তারা টোব্যাকো হতে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২০ শলাকা আটক করা হয়। যার পণ্য মূল্য ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা। জড়িত রাজস্ব ৫৬ লাখ ২৩ হাজার ৩১৬ টাকা। উক্ত সিগারেট ইনভেন্ট্রির মাধ্যমে আসল ও নকল আলাদা করে বিভাগীয় মামলা দায়েরের কাজ চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া হেরিটেজ টোব্যাকো থেকে ৪৭ হাজার পিস এবং তারা টোব্যাকো হতে ৫০ হাজার পিস নিম্নস্তরের পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। যার পণ্য মূল্য ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জড়িত রাজস্ব ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। উক্ত পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্পসমূহের জন্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী মূসক ফাঁকির মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অন্যদিকে নকল বা জাল সন্দেহে হেরিটেজ টোব্যাকো থেকে উচ্চস্তরের ৬ লাখ ৭৫ হাজার পিস ও অতি উচ্চস্তরের চার লাখ ৫০ হাজার পিস স্ট্যাম্প এবং তারা টোব্যাকো হতে নকল বা জাল সন্দেহে তিন হাজার পিস নিম্নস্তরের স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। যার পণ্য মূল্য ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। জড়িত রাজস্ব ২৪ কোটি ৯৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। উক্ত স্ট্যাম্পসমূহ দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, গাজীপুর থেকে আসল বা নকলের সত্যতা যাচাইপূর্বক ফৌজদারি মামলা দায়েরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ, হেরিটেজ টোব্যাকো থেকে জব্দ করা সিগারেট, পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প ও জাল বা নকল সন্দেহে জব্দ করা স্ট্যাম্পের পণ্য মূল্য ৩০ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জড়িত রাজস্ব ২৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। তারা টোব্যাকো হতে জব্দ করা সিগারেট, পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প ও জাল বা নকল সন্দেহে জব্দ করা স্ট্যাম্পের পণ্য মূল্য ৯৩ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা এবং জড়িত রাজস্ব ৭১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৬ টাকা। জব্দ করা মোট পণ্য মূল্য ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টাকা। জড়িত রাজস্ব ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ৩১৬ টাকা। এ বিষয়ে বিভাগীয় মামলা দায়ের কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানা গেছে।