কার্পেটে মূল্য ছাড়ের পরও দাম কমাতে তোড়জোড় ক্রেতাদের
জমে উঠেছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সরকারি ছুটির দিন বিধায় বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল নামে। মেলার প্রতিটি প্যাভিলিয়ন-স্টলে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। মেলাজুড়ে ক্রেতাদের আকর্ষণে ছিল কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিশেষ মূল্য ছাড়।
নতুন ও আধুনিক ডিজাইনে কার্পেট দিয়ে সাজিয়েছে প্যাভিলিয়নগুলো দাবি ব্যবসায়ীদের। দেখা যায়, দেশি-বিদেশি চোখ ধাঁধানো কার্পেট পছন্দ করতে ক্রেতারা ঘুরছে বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে। ব্যবসায়ীদের বিশেষ মূল্য ছাড়ের পরে দাম আরও কমাতে হাকাচ্ছেন ক্রেতারা।
ইরানি, ইন্দো- ইন্ডিয়ান, ইন্ডিয়ান, তুর্কি, উত্তরা কার্পেট প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি কার্পেট দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়েছে তাদের প্যাভিলিয়ন। প্রায় সব প্যাভিলিয়নের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্য ছাড় পাচ্ছে। কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীরা দাবি করছে, অধিকাংশ কার্পেট পণ্য নতুন ডিজাইনের। তারা বলেন, এবারের মেলায় রয়েছে কার্পেটে বড় মূল্য ছাড়। রয়েছে হোম ডেলিভারিসহ নানা সুবিধা।
ছুটির দিন বিধায় আজ ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি জানিয়ে ইরানী কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী মো. সুজন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রতি কার্পেটে মূল্য ছাড় রয়েছে। কার্পেটে প্রতি পাঁচ থেকে ২০ শতাংশ মূল্য ছাড়। রয়েছে হোম ডেলিভারি।
ক্রেতা তুলনায় বিক্রয়কর্মী কম জানিয়ে তুর্কি কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী সেলিম বলেন, আমাদের প্রতি কার্পেটে মূল্য ছাড় চলছে। সব কার্পেটেই ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মূল্য ছাড় আছে। বেশকিছু কার্পেটে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় রয়েছে।
কথা হয় ইন্দো- ইন্ডিয়ান কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের যেকোন কার্পেট কিনবে, তাতেই ক্রেতা মূল্য ছাড় পাবে। কার্পেট প্রতি ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের চাপ রয়েছে সেই তুলনায় বেচা কম জানিয়ে একই প্যাভিলিয়নের আরেক বিক্রয়কর্মী রুস্তম আলী বলেন, এখানে ইরানি, কাশ্মীরি, কাশ্মীরি সিল্ক কার্পেট সহ নানা বিদেশি কার্পেট পাবেন। সীমিত লাভেই বিক্রি করা হচ্ছে এসব কার্পেট।
অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতা বেশি জানিয়ে ইন্ডিয়ান কার্পেট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী আরাম বলেন, হরেক রকম নতুন সব ডিজাইনের কাশ্মীরি সিল্ক কার্পেট পাবেন এখানে। কার্পেট প্রতি ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
ইরানি প্যাভিলিয়ন কথা হয় কার্পেট কিনতে আসা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, নতুন ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। তাই মেলায় এসেছি কার্পেট কিনতে। কারণ এখানে বিভিন্ন ধরনের কার্পেট পাওয়া যায়। দেখছি প্রতিটি প্যাভিলিয়নের কার্পেটে মূল্য ছাড় চলছে। এরপর যে দাম চাচ্ছে তাও বেশি। তবে প্যাভিলিয়নগুলোতে নতুন ডিজাইনের কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে। ড্রয়িং রুমের জন্য কার্পেট কিনেছি। দাম একটু বেশি পড়েছে মনে হচ্ছে। তবে পছন্দের দিকে তাকিয়ে কিনতে হয়েছে। এখন বেড রুম ও অন্যান্য রুমের জন্য কার্পেট খুঁজছি।
প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে কার্পেট দেখছেন ও কিনছেন ক্রেতা জবিরুন আরা। তিনি বলেন, প্রায় সব কার্পেট প্যাভিলিয়ন ঘুরেছি। ঘর সাজাতে বেশকিছু কার্পেট কিনেছি। মূল্য ছাড়ের পরও কার্পেটের দাম অনেক বেশি। আরেক ক্রেতা আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, মেলায় বিভিন্ন ডিজাইনের কার্পেট দেখা যাচ্ছে। দাম বেশি কি না বুঝতে পারছি না। তবে ঠিকঠাক বলেই মনে হচ্ছে।