ঈদকে কেন্দ্র করে ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়

চলতি মাস এখনও শেষ হয়নি। তবুও সর্বকালের সেরা প্রবাসী আয় এসেছে এই মার্চে। মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ প্রবাসী আয় আগে কখনও আসেনি দেশে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের ২৬৪ কোটি ডলার এসেছিল, ওটাই ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। তারও আগে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।
এদিকে, প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিক ডলারের দর কয়েক মাস ১২১ থেকে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, চলতি বছরের মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৮৭৩ কোটি চার লাখ ৫০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮১ পয়সা হিসেবে)। মার্চের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় তার আগের বছরের মার্চের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছরের মার্চে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আরিফ হোসেন খান আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ১ জুলাই থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে দুই হাজার ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ১ জুলাই থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৬৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছিল।
আগের বছরের (২০২৩ সাল) ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।