দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে ফোরাম জোট। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে ৩১টিতেই জয় পেয়েছেন ফোরামের প্রার্থীরা। এই বিপুল জয়ের ফলে আগামী ২ জুন অনুষ্ঠেয় সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনে ফোরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা প্রায় সুনিশ্চিত।

শনিবার (৩০ মে) সকাল ৮টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে শুরু হয় বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, যা বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত গণনা শুরু হয়।

নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল এবারের নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের তত্ত্বাবধান করেন। মোট এক হাজার ৮৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৬৩১টি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ১০৩টি বাতিল হয়। চট্টগ্রামে ২৫৪টি ভোট পড়ে এবং বাতিল হয় ৬টি ভোট।

নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকার ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম জোটের প্রার্থীরা ২৫টিতে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্মিলিত পরিষদ ঢাকায় মাত্র ১টি পদে জয় পায়। চট্টগ্রামের ৯টি পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম জোট ৬টি পদে বিজয়ী হয়, আর সম্মিলিত পরিষদ পায় ৩টি পদ। সব মিলিয়ে নির্বাচিত ৩৫ জন পরিচালকের মধ্যে ৩১ জনই ফোরাম জোটের প্রতিনিধি। সম্মিলিত পরিষদ থেকে মোট ৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে ঐক্য পরিষদ কোনো আসনে জয়লাভ করতে পারেনি।

নির্বাচনে প্যানেল লিডার হিসেবে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। তার নেতৃত্বেই ফোরাম এই বিশাল বিজয় অর্জন করল। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম এবং ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ মহসিন।

এই নির্বাচিত ৩৫ জন পরিচালক আগামী ২ জুন নিজেদের মধ্য থেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে বিজিএমইএর নতুন সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। ফোরাম জোটের নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্যের কারণে তাদের প্যানেল থেকেই বিজিএমইএর আগামী নেতৃত্ব আসবে বলে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে।