প্রবাসী আয়ের শীর্ষে যে ১০ জেলা
বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ যেসব জেলায় বেশি এসেছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) প্রবাসী আয়ের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। তৃতীয় স্থানে কুমিল্লা ও চতুর্থ সিলেট। শীর্ষ দশের তালিকায় ওঠে এসেছে নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল ও মৌলভীবাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক হালনাগাদ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের তথ্য বলছে এসব কথা।
দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকার বিভাগের দুইটি জেলা প্রবাসী আয়ের শীর্ষ দশের তালিকা ওঠে এসেছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় প্রবাসী আয় ৯২৬ কোটি ১৩ লাখ ডলার এসেছে। এতে প্রবাসী আয়ের শীর্ষ প্রথম অবস্থানে ওঠে এসেছে ঢাকা। শীর্ষ দশের তালিকায় ওঠে এসছে একই বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা। টাঙ্গাইলে প্রবাসী আয় এসেছে ৫৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার। চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জেলাই প্রবাসী আয়ের শীর্ষ দশের তালিকায়। এই বিভাগের মোট ১১টি জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম রয়েছে শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয়তে। শীর্ষ দশে আছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর। চট্টগ্রাম জেলায় প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। কুমিল্লা জেলায় ১৪৪ কোটি আট লাখ ডলার, নোয়াখালীতে ৮৩ কোটি পাঁচ লাখ ডলার, ফেনীতে ৮০ কোটি ১৯ লাখ ডলার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার এবং চাঁদপুরে ৭৪ কোটি সাত লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। শীর্ষ দশের তালিকায় সিলেট বিভাগে রয়েছে দুটি জেলা। এর মধ্যে সিলেট জেলায় প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি ১১ লাখ ডলার। একই বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় প্রবাসী আয় এসেছে ৫১ কোটি ১০ লাখ ডলার। রংপুর বিভাগের লালমনির হাট জেলায় প্রবাসী আয় এসেছে দুই কোটি ৪১ লাখ ডলার। যা দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন প্রথমে আবস্থানে এটি।
রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য মতে, অন্যান্য জেলার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার, নরসিংদী ৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, লক্ষ্মীপুর ৪৪ কোটি তিন লাখ ডলার, নারায়ণগঞ্জ ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, মাদারীপুর ৪১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, কিশোরগঞ্জ ৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, গাজীপুর ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, হবিগঞ্জ ৩৪ কোটি চার লাখ ডলার, সুনামগঞ্জে ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, বরিশাল ৩১ কোটি ১১ লাখ ডলার, ফরিদপুর ৩০ কোটি ৩২ লাখ ডলার, শরীয়তপুর ৩০ কোটি ২৩ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ ২৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, মানিকগঞ্জ ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যশোর ২১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, গোপালগঞ্জ ১৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বগুড়া ১৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, কুষ্টিয়া ১৯ কোটি তিন লাখ ডলার, কক্সবাজার ১৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, পাবনা ১৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার, খুলনা ১৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার, জয়পুরহাট ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, চুয়াডাঙ্গা ১২ কোটি ৯২ লাখ ডলার, ভোলা ১২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, ঝিনাইদহ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, রাজবাড়ী ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, রাজশাহী ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, সিরাজগঞ্জ ১১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার, পিরোজপুর ১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, নওগাঁ ১০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, রংপুর ১০ কোটি ৫২ লাখ ডলার, মেহেরপুর ১০ কোটি আট লাখ ডলার, সাতক্ষীরা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, পটুয়াখালী আট কোটি ৫৩ লাখ ডলার, বাগেরহাট আট কোটি ৫০ লাখ ডলার, বরগুনা সাত কোটি ৭৯ লাখ ডলার, নাটোর সাত কোটি ৬৪ লাখ ডলার, মাগুরা সাত কোটি ৩৩ লাখ ডলার, গাইবান্ধায় সাত কোটি ৩১ লাখ ডলার, দিনাজপুর সাত কোটি ১৬ হাজার ডলার, ঝালকাঠি সাত কোটি ১৫ লাখ ডলার, নেত্রকোনা ছয় কোটি ৮৩ লাখ ডলার, নড়াইল পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, কুড়িগ্রামে চার কোটি ৯৮ লাখ ডলার, শেরপুর চার কোটি ৪৭ লাখ ডলার, নীলফামারী চার কোটি ৩৩ লাখ ডলার, খাগড়াছড়ি চার কোটি ১৫ লাখ ডলার, জয়পুর হাট তিন কোটি ৯২ লাখ ডলার, ঠাকুরগাঁও তিন কোটি ৪৯ লাখ ডলার, পঞ্চগড় তিন কোটি দুই লাখ ডলার, বান্দরবান দুই কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং রাঙামাটি দুই কোটি ৪৬ লাখ ডলার
গত ১১ মাসে প্রবাসীরা দেশে দুই হাজার ৭৫০ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে প্রবাসী আয় ঢাকা বিভাগে এসেছে এক হাজার ৩৫৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। চট্টগ্রাম বিভাগের এসেছে ৭৫৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, সিলেটের ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, খুলনায় ১২৩ কোটি দুই লাখ ডলার, রাজশাহীতে ৯৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, বরিশালে ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, ময়মনসিংহে ৫৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার এবং রংপুরে ৪৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার।