অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক দখল করা ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রকৃত মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম। এছাড়া পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ অবৈধ নিয়োগ বাতিল দাবি জানান তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি তোলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সদস্য সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

যদি আজকের মধ্যেই অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের বহিষ্কার না করা হয়, তবে আমরা ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সারা দেশের মেধাবী তরুণদের দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে নতুন নিয়োগ দিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করে জোরপূর্বক ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করে তারা শেয়ারের ওপর দুই শতাংশ ধারণের শর্ত চাপিয়ে দেয়। যা ছিল অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবিরোধী। ওই শর্ত প্রকৃত মালিকদের শেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দখলের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে এস আলম। পরে নিজের পছন্দের লোকজনকে ব্যাংকের শীর্ষ পদে বসিয়ে শুরু হয় লুটপাট। ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে–বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়, তৈরি করা হয় কৃত্রিম ডলার সংকট। এস আলম গ্রুপ চট্টগ্রাম ও পটিয়ার কয়েক হাজার অর্ধশিক্ষিত ও অযোগ্য লোককে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ব্যাংকে নিয়োগ দেয়, যাদের অনেকেই ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি পায়। এতে ব্যাংকের সেবার মান ও পেশাদারিত্বে ধস নামে।

বক্তারা বলেন, একদিকে হাজার কোটি টাকা লোপাট, অন্যদিকে অবৈধ নিয়োগের কারণে প্রতিবছর ব্যাংকের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এভাবে সাত বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম প্রমুখ।