চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে মাশুল কমানোর সুযোগ নেই : নৌ সচিব

১৯৮৬ সালের পর চলতি বছর চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে মাশুল বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, মাশুল কমানোর সুযোগ নেই। সমীক্ষার ভিত্তিতে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পের বিনিয়োগ সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফ এ কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরী। ইআরএফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি দৌলত আক্তার। উপস্থাপনা ছিলেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার।
গত প্রায় ৪০ বছরে মাশুল বাড়ানো হয়নি জানিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ১৯৮৬ সালের পর চলতি বছর চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে মাশুল বাড়ানো হয়েছে। গত প্রায় ৪০ বছরে মাশুল বাড়ানো হয়নি। তাই এই মাশুল কমানোর সুযোগ নেই। নিয়ম মতে, পাঁচ বছর পরপর এটা বাড়ানো উচিত ছিল।
কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়োগ হয়ে যাবে। তাদেরও মুনাফার বিষয় আছে। তাই মাশুল কমানোর সুযোগ নেই। সমীক্ষার ভিত্তিতে এই মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এই হার একটু বেশি।
বিদেশি অপারেটর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামসহ তিনটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ বছরের জন্য এই অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব টার্মিনালের সক্ষমতা বাড়িয়ে লিড টাইম কমিয়ে আনতে বিদেশি অপারেটর ছাড়া উপায় নেই। এসব চুক্তি প্রয়োজনে আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশেই এমন বিদেশি অপারেটর রয়েছে।
জাহাজ খাতে কর অবকাশ পুনর্বহাল দাবি করে আজম জে চৌধুরী বলেন, সমুদ্রগামী জাহাজ খাতে বিনিয়োগে কর অবকাশ দেওয়া ছিল ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এই কারণে বাংলাদেশি জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার এই কর অবকাশ বাতিল করেছে। ফলে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চ্যালেঞ্জে পড়েছে।