‘শাহজালালের কার্গো ভিলেজ সচল করতে ৩০ দিন লাগবে’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর নতুন স্থানে আমদানি পণ্য রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো ভিলেজ পুনরায় সচল করতে ১৫ থেকে ৩০ দিন লাগবে।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে ফয়সাল সামাদ এসব কথা বলেন।
এদিন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে তারা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পোশাক উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান এবং মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন জানিয়ে ফয়সাল সামাদ বলেন, আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। আগুনে পুরো আমদানি সেকশন পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নতুন পণ্যের আমদানি কার্যক্রমে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আপাতত টার্মিনাল-৩ এ নতুন স্থানে আমদানি পণ্য রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। এছাড়া ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আমাদানি পণ্য দ্রুত খালাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো ভিলেজ পুনরায় সচল করতে ১৫ থেকে ৩০ দিন লাগবে জানিয়ে ফয়সাল সামাদ বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং কমিটি করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত মালামাল খালাস করা যায়। এমনকি শুক্র-শনিবারও কাজ চলবে।
এ সময় জানানো হয়, পোশাক শিল্পের বিপুল ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে বেশকিছু বিষয়ে জোরালোভাবে অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ। এগুলো হলো- এই অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সে বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করা। ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে বন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নির্বিশেষে যেন অন্যান্য নিয়মিত শিপমেন্টগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে, তার জন্য সকল প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুততর করা। রপ্তানি পণ্য খোলা জায়গায় না রেখে বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি না হয়। বিজিএমইএ ঢাকার বিমান বন্দরে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত মালামাল ৩৬ ঘন্টার মধ্যে খালাস করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক