ব্যবসায়ীরা সুদহার আর সইতে পারছে না, এটা বহন করা অসম্ভব বিষয় হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশের শিল্প খাতের ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্প উদ্যোক্তারা। 

অগ্রিম কর ও উৎসে কর হচ্ছে কর–সন্ত্রাস। এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা লাভ করি বা লোকসান করি— সব অবস্থাতেই আমরা কর দিয়ে যাচ্ছি জানিয়ে সংলাপে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, এনবিআর বিভিন্ন সংস্কার ইতোমধ্যে করেছে। তাতে বন্ড অটোমেশন হয়েছে ও এইচএস কোডের যে টেররিজম ছিল, সেখানে থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন অগ্রিম কর ও উৎসে কর থেকে মুক্তি চাই।

অন্যদের অপরাধ আমাদের ওপরে যেন না আসে- এমন অনুরোধ জানিয়ে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বাংলাদেশে শুধু ব্যবসায়ীরা বিত্তবান হয়েছে, নাকি আমলারাও হয়েছেন— এই কথাটা বলা হয় না। যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার করেছেন আমলারা। আমরা ব্যবসায়ীরা এ দায় নিতে চাই না। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা টাকা চুরি করেন, গ্যাস চুরি করেন, তাদের ধরেন, আইনের আওতায় আনেন। ওনাদের দায় যেন আমাদের ওপরে না আসে।”

সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বিনীত নিবেদন, ব্যবসায়ীরা সুদহার আর সইতে পারছে না জানিয়ে নাসিম মঞ্জুর বলেন, এটা বহন করা আমাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো দেশ—ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে আমরা পারছি না। 

আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অংশীদারদের কথা শুনে চলা ব্যবসায়ীরা সমর্থন করে না মন্তব্য করে নাসিম মঞ্জুর বলেন, আপনাদের চার বিলিয়ন, পাঁচ বিলিয়ন— যে অর্থ লাগবে, আমরা রপ্তানি থেকে এনে দেব। কিন্তু তাদের সব জায়গায় অনুসরণ করা উচিত হবে না।