বিদায়ী নভেম্বরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে সৌদি আরব। দেশটির পরের অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য (ইউকে)। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত নভেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে— সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ), ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে সৌদি আরবের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। এছাড়া আলোচিত সময়ে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর  থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার, ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও ১১ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে আট কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চার কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ফ্রান্স থেকে তিন কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার, গ্রিস থেকে দুই কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জর্ডান থেকে এক কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার, কানাডা থেকে এক কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জার্মানি থেকে এক কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, স্পেন থেকে এক কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, পর্তুগাল থেকে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, মালদ্বীপ থেকে ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, জাপান থেকে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার,  লেবানন থেকে ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, পোল্যান্ড থেকে ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, মরিশাস থেকে ৫৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ইরাক থেকে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার, সুইডেন থেকে ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং সাইপ্রাস থেকে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ মিলে প্রবাসী আয় এসেছে চার কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।