খেলাপি ঋণ বাজেটের ৮১ শতাংশ : ড. ফাহমিদা খাতুন
ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণে চরম অপেশাদারিত্ব রয়েছে। খেলাপি ঋণ এখন ৩৫ থেকে ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বাজেটের ৮১ শতাংশ বলে জানালেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, বারবার ঋণ পুনঃতফসিল করায় খেলাপি ঋণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্ম, চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় শীর্ষক সেমিনারে ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে খেলাপি ঋণ ১১ থেকে ১২ শতাংশ ছিল জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিকে সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে বলা হয়েছিল। এখন দেখেছি, এটি ৩৫ থেকে ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। ছয় লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। দেশের মোট বাজেটের আকার সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ খেলাপি ঋণ বাজেটের প্রায় ৮১ শতাংশ।
ঋণ বিতরণে অপেশাদারিত্ব রয়েছে মন্তব্যে করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রভাবশালীদের সুপারিশে ঋণ দেওয়া হয়েছে। বারবার ঋণ পুনঃতফসিল করায় খেলাপি ঋণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করা হলো। তাদের পুরো যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার সমান খেলাপি। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এগুলোকে একত্র করা হয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, একীভূতকরণ কোনো সহজ বিষয় না।

নিজস্ব প্রতিবেদক