খুলেছে শ্রেণিকক্ষ, সশরীরে ক্লাসে টিকাপ্রাপ্তরা
প্রাথমিক বাদে সারাদেশে আজ মঙ্গলবার থেকে খুলেছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী খোলা হলো শ্রেণিকক্ষের তালা। যে সব শিক্ষার্থী করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন, তারা আজ থেকে সশরীরে অংশ নিতে পারছেন ক্লাসে। বাকিরা বাসা থেকে অনলাইন যুক্ত হচ্ছেন। আর ২ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সারাদেশে ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের মুখে গত ২১ জানুয়ারি দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর আগে ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্বল্প পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চার মাস ঠিকঠাক চলছিল সব। এরই মধ্যে দেখা দেয় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাব। বেড়ে যায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা। পরে চলতি বছরের জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে কমে আসতে দেখা যায় করোনার সংক্রমণ। পরে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেয়েই আজ মঙ্গলবার থেকে খুলে দেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এ সিদ্ধান্তের কথা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেদিন শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ টিকাপ্রাপ্তদের নিয়ে শ্রেণিকক্ষে সশরীরে ক্লাস এবং বাকিদের ক্ষেত্রে বাসায় বসে অনলাইনে করার কথা বলেন। সে অনুযায়ীই সকাল থেকে শুরু হয়েছে পাঠদান। সঙ্গে মানা হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দেওয়া নির্দেশনা।
স্কুল-কলেজের ফটকে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, হাতে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা করছেন এসব কাজ। নিশ্চিত করা হচ্ছে মাস্ক। এ ছাড়া প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালীন কারও তাপমাত্রা বেড়ে গেলে অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করতে একটি রুম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর তা কীভাবে চলবে, এ বিষয়ে ২০ দফা গাইডলাইন দিয়েছে মাউশি। গত রোববার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া এক তথ্যে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেদিন শিক্ষামন্ত্রী বাকি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাকি শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।’