জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের কক্ষ সংকট, সেমিনার চালান মালি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ঠিকভাবে নেওয়া যাচ্ছে না ক্লাস। কক্ষের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস। এদিকে লোকবল না থাকায় এ বিভাগের সেমিনার চলছে মালি দিয়ে।
জানা যায়, বর্তমানে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস নেওয়ার জন্য রয়েছে একটি মাত্র রুম। সবার ক্লাস নেওয়ার জন্য কমিয়ে আনা হয়েছে সময়। তারপরও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া বিভাগের ল্যাব ছোট হওয়ায় এখনও ১৩ ও ১৫ ব্যাচের ল্যাব পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এ কারণে ব্যাচ দুটির পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশেও বিলম্ব ঘটছে। দুই ব্যাচের পরবর্তী ক্লাসও শুরু করা যাচ্ছে না। একটি শ্রেণিকক্ষ, একটি ল্যাব দিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো এ বিভাগ।
এদিকে কিছুদিন আগে কক্ষ সংকটে থাকা বিভাগগুলোর সমস্যা সমাধানে বেশকিছু কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগও তখন পরিসংখ্যান বিভাগের ২১৯ ও ২২০ নম্বর কক্ষ দুটি বরাদ্দ পেয়েছিল। আর পরিসংখ্যান বিভাগকে নতুন একাডেমিক ভবনের দশম তলায় কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিসংখ্যান বিভাগ তাদের পুরোনো ওই দুটি কক্ষ এখনও না ছাড়ার কারণে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ সংকটেই রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে আমরা কোর্সের পর্যাপ্ত সময়ানুযায়ী ক্লাস নিতে পারছি না। একটি ব্যাচের ক্লাস বন্ধ রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে সেশনজট কমানোর জন্য। আমরা যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সেশনজটতো কমবেই না, উল্টো দ্বিগুণ সময় লাগবে।’
কক্ষ বরাদ্দের বিষয়ে ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বিভাগ নতুন ভবনে রুম বরাদ্দ পাওয়ার পরও তাঁরা এ দুটি কক্ষ ছাড়ছে না। এখন তাঁরা যদি না ছাড়ে, মনে হয় ক্লাসের রুটিন দিয়ে জোরজবরদস্তি করে কক্ষ নিতে হবে।’
পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করুন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় ছুটিতে ছিলেন। তিনি এলেই এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিব।’