জাবিতে প্রক্সি দিয়ে মেধাতালিকায় দশম, ভর্তি হতে এসে ধরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি হতে এসে প্রক্সি জালিয়াতির ঘটনায় এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল আবেদীন আল-আমীন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। মিনহাজুল ফুলবাড়িয়ার আল-হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি ও ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন মিনহাজুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তার পরিবর্তে সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে প্রক্সি দেয় ভর্তি জালিয়াতি চক্রের এক সদস্য।
মিনহাজুল বলেন, ‘বি ইউনিটে তার পরিবর্তন অন্যজন ভর্তি পরীক্ষা দেয়। ‘বি’ ইউনিটে মেধাক্রমে তার সিরিয়াল আসে ১০।’
তার পরিবর্তে কে পরীক্ষা দিয়েছে এবং কত টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দেওয়া হয়েছে, তা মিনহাজুল জানেন না। তবে ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার সে নিজে দেন বলে জানান মিনহাজুল।
নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন মুঠোফোনে মিনহাজুলের বাবা আব্দুল লতিফের সাথে কথা বললে তিন লাখ টাকায় প্রক্সির বিষয়ে চুক্তি হয় বলে জানান তিনি। আব্দুল লতিফ বলেন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজে পড়ুয়া মিনহাজুলের মামা শাহিনুর প্রক্সির ব্যবস্থা করেন। এ বাবদ তার মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন, ‘আজ মিনহাজুল ভর্তি হতে এলে ওএমআর-এর সাথে তার হাতের লেখার গড়মিল পাওয়া যায়। তাকে তিনবার সুযোগ দেওয়া হলেও গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে নিরাপত্তা শাখায় পাঠানো হয়।’
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘ডিন অফিসে আটক করার পর মিনহাজুলকে নিরাপত্তা শাখায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ও তার বাবা ভর্তি জালিয়াতির কথা স্বীকার করে। তার মোবাইল ফোনে জালিয়াতির আলামত পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সাথে তার একাধিকবার কথা হয়। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।’