রাবির বাগানে পপিগাছ, আছে গাঁজাও!
নিষিদ্ধ মাদক ‘আফিম’ তৈরির কাঁচামাল ‘পপি ফুল’। মাদকদ্রব্যের গাছ হওয়ায় দেশে সব প্রজাতির পপির চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের বাগানে নিষিদ্ধ ‘পপি’ গাছ লাগানো হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ১১টি আবাসিক হলের পাঁচটিতে নিষিদ্ধ আফিম তৈরির পপি গাছ রয়েছে। হলগুলোর বাগানের সঙ্গে এসব পপি গাছ লাগানো হয়েছে। অন্য গাছের আড়ালে থাকায় ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে তা বুঝা যায় না। বেশিরভাগ গাছে লাল-সাদা রঙের পপি ফুল এসেছে। আবার কিছু গাছে ফল ধরেছে।
জিয়াউর রহমান হলের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্লকের মাঝের বাগানে প্রায় ৪০টি, মাদার বখ্শ হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্লকের মাঝের বাগানে প্রায় ১০টি, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের বাগানে প্রায় ১০০টি, সৈয়দ আমীর আলী হলের বাগানে ২০টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভেতরের বাগানে ছয় থেকে সাতটি গাছ রয়েছে।
এ ছাড়া দুটি হলে দেখা মিলেছে গাঁজার গাছ। শাহ মখদুম হল ও শহীদ সামসুজ্জোহা হলের বাগানে একটি করে গাঁজার গাছ রয়েছে।
তবে হলগুলোতে দায়িত্বরত মালিদের দাবি, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে অনেক আগে পপি গাছ লাগানো হয়েছিল। পরে সেগুলো তুলে ফেলা হয়। তার বীজ থেকেই বর্তমান গাছগুলো হয়েছে। নতুন করে গাছ লাগানো হয়নি।
জিয়াউর রহমান হলের মালি মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ রয়েছে। এ বছরও অনেক ফুল গাছ নতুন করে লাগানো হয়েছে। তবে পপি গাছ লাগানো হয়নি। এসব গাছ অনেক আগে লাগানো হয়েছিল। তখন হল প্রশাসনের নির্দেশে সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তার বীজ থেকেই বর্তমান গাছগুলো হয়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘দুই প্রজাতির পপি গাছ রয়েছে। এর একটি থেকে রস সংগ্রহ করা যায়, আরেকটি থেকে যায় না। তবে উভয় ধরনের পপি গাছ চাষই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে লাগানোও বৈধ নয়।’
জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলকার নায়েন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। হলে কর্তব্যরত মালির সঙ্গে কথা বলে দেখব।’