রাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম ‘প্রক্সি’ দেওয়া শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন তানভীর আহমেদ নামের একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু এই শিক্ষার্থীর হয়েই ‘প্রক্সি’ দিতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। পরবর্তীতে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তানভীর আহমেদ ‘এ’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটে ৯২ দশমিক ৭৫ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
এদিকে প্রক্সি দিয়ে আটক হওয়ার পর তাঁর ফলাফল প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা। তাঁরা বলছেন, ‘এটি হওয়া উচিত হয়নি। এটি পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতা ও অব্যবস্থাপনা প্রমাণ করে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, ‘এ’ ইউনিটের ৩৯৫৩৪ রোল নম্বরধারী তানভীর আহমেদ নামে একজন দ্বিতীয় শিফটে প্রথম হয়েছেন। অথচ পরীক্ষার দিন জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ করা হয় এই রোল নম্বরধারী তানভীরের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন বায়েজিদ খান।
এছাড়া ওইদিন ৬২৮২৮ রোল নম্বরধারী ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দেন জান্নাতুল মেহজাবিন। নিয়ম অনুযায়ী প্রক্সি বা জালয়াতি ধরা পরার পর ইশরাত বহিষ্কার হবেন। কিন্তু প্রকাশিত ফলে দেখা যায় তিনিও পাস করেছেন। তিনি তৃতীয় শিফটে ৪৬ দশমিক ৯০ পেয়ে ৬ হাজার ৯২১ তম অবস্থানে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এটি পদ্ধতিগত ত্রুটি। এমনটি হওয়া উচিত ছিল না।’
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর খাতা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হওয়া উচিত ছিল। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। ওই শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।'
তানভীর আহমেদের প্রথম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘এটি আমরা দেখছি। তার ফল বাতিল করা হবে। ভর্তি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তাঁর হয়ে প্রক্সি দিয়েছে এই তথ্য আমাদের দেওয়া হয়নি। প্রক্সি ধরা পরলে তার খাতা আলাদা করে ফেলা হয়। কিন্তু এটি আমাদের অবহিত করা হয়নি। সেজন্য তার নাম রয়ে গেছে।’