শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতে ঢাকায় আসছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ঢাকার পথে রওনা হওয়ার অপেক্ষায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। তবে কারা থাকছেন সে প্রতিনিধি দলে, তা এখনও জানা যায়নি। যদিও অব্যাহত থাকছে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি।
আমরণ অনশনের তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।
শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলেন। ‘সব বিষয়ে অবগত আছেন’ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকায় আলোচনায় বসতে আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর সেই আহ্বানে সম্মতি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারপর থেকে ঢাকার পথে রওনা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল।
স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘আমাদের দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ। তাঁর পদত্যাগ দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চলছে। এরই মধ্যে ১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করতে প্রতিনিধিরা ঢাকায় যাবেন। তবে অনশন অব্যাহত থাকবে।’ প্রতিনিধি দলে কারা থাকছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
গত বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে নামেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী। এতে ১৫ জন ছেলে ও ৯ জন মেয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অসুস্থ ১৩ জনকে এমএজি ওসমানী মেডিকেলসহ ও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে ছেলের অনশনের খবর পেয়ে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থী অনশন ভেঙে তাঁর বাবাকে দেখতে গেছেন। এ ছাড়া, শ্বাসকষ্ট থাকায় ৪ জনকে নেবুলাইজার দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। পরে দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে দেওয়া উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফেরেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য তাঁদের দাবি না মেনে নিয়ে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেন। পরে সেই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।
এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। যদিও পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই করেন মামলা। পরে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা।