স্মার্টফোনের আওতায় আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে এ পরিকল্পনা। ২০২৩ সালের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কিনতে এরই মধ্যে ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া একই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনাও নিয়েছে ইউজিসি। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান তুহিন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এরই মধ্যে যেসব শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই সে ঋণ নিয়েছেন।

ড. ফেরদৌস জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতেও এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে। সেখানে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায় ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন, ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শতভাত স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেন। একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার কথাও জানান।

এ ছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।

প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’