কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) হাল্ট প্রাইজের অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে ‘টিম কার্গসমেরিন’। এতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ‘টিম পাইওনিয়ার’ ও তৃতীয় ‘টিম কাচ্ছি’।

কুমিল্লার ময়নামতি অডিটরিয়ামে গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সন্ধ্যার আয়োজন ছিল। 

প্রতিযোগিতার ফাইনালে অংশগ্রহণকারী ১০টি দল হলো—ডায়নামিক মার্কেটারস, টিম কার্গসমেরিন, টিম এমিবা, টিম কাচ্ছি, টিম শতরঞ্জি, স্পার্ক ব্লেজ, টিম এন্ত্রপলজি, টিম অরবিট, এপেক্সালি ইনোভেটরস ও টিম পাইওনিয়ার। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর আইডিয়া উপস্থাপন শেষে তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ওটিটি প্লাটফর্ম ‘চরকি’র প্রধান নির্বাহী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি, টু-সেন্ট পডকাস্ট এর সহযোগী হোস্ট সাজ্জাদ হোসেন, স্ট্রিমিং, ফ্রিল্যান্সার ও এমজি মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী নাফিস মাহাদি নীলসহ হাল্ট প্রাইজ অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের উপদেষ্টারা।

প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন হালিমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাণ এবং আর এফ এলের ডিজিটাল মিডিয়া এবং প্ল্যানিং স্ট্র‍্যাটেজিক বিভাগের সহযোগী ব্যবস্থাপক সাকিফ আমজাদ আল হক। 

অতিথির বক্তব্যে চরকি প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি বলেন, আপনারা পড়াশোনার বাইরে এসে নতুন কিছু করছেন, এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আমি এই ধরনের আয়োজনে বেশি বেশি আসতে চাই। কারণ, এখানে আসার পর আগামীকালের কাজকে অনেক বেশি সহজ করে দেয়। আপনি যে স্বপ্নটা দেখছেন, কখনোই ভাববেন না যে আপনার স্বপ্নটা পূরণ হবে না। আপনি আপনার কাজ করে যান, কে কী বলল সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। 

আবুল কালাম হাসান টগর বলেন, আপনার যদি মনে হয় যে কাজটি করছেন সেটি ভালো লাগছে না, তাহলে এটি আপনার জন্য না। আপনি যা, তাই প্রকাশ করুন।

হাল্ট প্রাইজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সুমাইয়া কবির বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন ক্যাম্পাসে এত বড় একটা প্রোগ্রাম করা অনেক বড় ব্যাপার। স্পন্সর ম্যানেজ করা থেকে, মিডিয়াসহ সবকিছু ম্যানেজ করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সবকিছু সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এজন্য খুব ভালো লাগছে।

গত ১০ ডিসেম্বর হাল্ট প্রাইজ-২০২৪-এর অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ২২১টি দল রেজিস্ট্রেশন করে। বিভিন্ন ধাপ শেষ করে ৩০টি দল সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। সেখান থেকে ১০টি দল ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে তিন বিজয়ী দলকে ৩০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি হিসেবে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তীতে রিজিওনাল সামিটে দেশের অন্যান্য অন ক্যাম্পাস বিজয়ীদের সঙ্গে লড়বে। সেখানে বিজয়ী দলটি গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। গ্লোবাল ফাইনালে চূড়ান্ত বিজয়ী দলের জন্য রয়েছে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাইজ মানি।