বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহর প্রবেশের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিতে এবং ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর চেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। 

গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার কথা জানানো হয়।  

বুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো হলো—

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।

২. এ ছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম, সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা তাদের রাজনৈতিক কর্মী বহর নিয়ে মূল গেট দিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে বিপুল বহিরাগতও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।