শাহবাগ থেকে ফার্মগেট অভিমুখে বাংলা ব্লকেড, সড়কে যানজট
বিকেল ৪টার আগেই কোটাবিরোধীদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ। গতকাল রোববারের (৭ জুন) ঘোষণা অনুযায়ী সেই স্বর ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সাত-সাতটি পয়েন্টে। এখন শাহবাগ থেকে বাংলা মটর হয়ে ফার্মগেটে অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধীরা। এতে স্থবির যানচলাচল, ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
কোটাবিরোধীদের একজন সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, কোটা সংবিধানে বাধ্যতামূলক নয়। এটি দিতে বাধ্য করা হলে সংবিধানের জন্য সাংঘর্ষিক হয়। সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বা কোটার আসন আছে। জাতীয় সংসদেও ৫৬ শতাংশ কোটা দেওয়া হয় না। সেখানে ১৪ শতাংশ কোটার সিট আছে। চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা অযৌক্তিক।
‘এই আন্দোলন যৌক্তিক নয়’ বলে মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধুর পাশে যেমন মোস্তাক ছিল, তার পাশেও কিছু মোস্তাক আছে। আমাদের প্রাণের দাবিগুলো তার কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছেন না। এজন্য আমরা আজ শাহবাগ থেকে বলতে চাই—পুরো বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি সংবিধান অনুসারে কোটা বিলুপ্ত করুন। পিছিয়ে পরাদের জন্য কিছু কোটা থাকতে পারে। এ ছাড়া কোটা বিলুপ্ত করুন। যেদিন আমাদের দাবি আদায় হবে, সেদিন আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে আমাদের এক দাবি। আমাদের দাবিটি হচ্ছে–সব গ্রেডে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর পিছিয়ে পরা জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
আগামীদিনের কর্মসূচির বিষয়ে নাহিদ বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে এটা আদালতের বিষয়। ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি। আমাদের দাবি যদি যৌক্তিক মনে না হয়, তাহলে আপনারা কোটা শতভাগ করে দেন।
সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি চলবে। আগামী রোববার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট ক্লাস পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। আজকের ব্লকেড কারওয়ানবাজার পর্যন্ত গেছে। আগামীকালও ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে। আগামীকাল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হবে। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। কোনো বাধা এলে প্রতিহত করা হবে।