নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯৯১ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পূর্তিতে বর্তমানে আটটি স্কুল ও একটি ইনস্টিটিউটের অধীনে ২৯টি ভিন্ন ভিন্ন ডিসিপ্লিনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১১টায় লিয়াকত আলী মিলনায়তনে দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। দুপুরে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ভবিষ্যতে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্ভাবন, মানবিকতা, সৃজনশীলতা ও দায়িত্ববোধে পরিপূর্ণ এক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত করতে চাই। পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে তরুণদের সৃষ্টিশীল মনন ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিই গড়ে তুলবে আগামী দিনের বাংলাদেশ; আর সেই যাত্রায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে পথপ্রদর্শকের ভূমিকায়। আমি চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব আবাসন সংকট নিরসন করা যায়।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র ছাত্র রাজনীতিমুক্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা নিশ্চিত করেছে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ও সেশনজটমুক্ত শিক্ষা কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতির অন্যতম দিক হলো এর স্থাপত্য—ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত ভিন্ন আঙ্গিকের শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরব বহনকারী ভাস্কর্য ‘অদম্য বাংলা’।

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা