সোনারগাঁয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ওপর হামলা, আটক ২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভোট গণনায় গড়মিলের অভিযোগ এনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ।
আজ বুধবার বিকেলে পাঁচপীর দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এঘটনা ঘটে। একেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন ফখরুল ইসলাম। মারপিটের ঘটনায় আহত হলে তাঁকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইউপি সদস্য প্রার্থী তাহের আলীর অভিযোগ—মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে দুই হাজার ৯৬৪ ভোট রয়েছে। তার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। অথচ, ফলাফল দেওয়ার সময় মাত্র এক হাজার ২০০ ভোটের হিসাব দেখিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চলে যেতে চাইলে বিরোধ বাধে। এক পর্যায়ে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামকে মারধর করেন।
ওসি আরও জানান, ফখরুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁকে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষকরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ২৯ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।