মতবিনিময় সভায় কাগজ ছিঁড়ে আলোচনায় বিএনপির সাবেক এমপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন এক মতবিনিময় সভায় একটি কাগজ ছিঁড়ে ফেলে আলোচনায় আসেন। এসময় একটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যও করেন তিনি। জানা যায়, সে রাজনৈতিক দলটি হলো তৃণমূল বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাই তার হাতের কাগজ ছেঁড়া ও নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক ভিডিওতে দেখা যায়, এম এম শাহীন একটি কাগজকে মনোনয়নপত্র দাবি করে সেটি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় তিনি বলেন, যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই, সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কিন্তু কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চাননি, তাই আমি মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।
এদিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিএনপি থেকে এম এম শাহীনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় শাহীনের মনোনয়ন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, এম এম শাহীন একটি কাগজকে মনোনয়ন দাবি করে ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে শুনেছি। তবে সেটি সত্যিই মনোনয়ন কী না সেটি আমরা নিশ্চিত না। তবে তিনি আজ তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এম এম শাহীন তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরপর আর কোনো মনোনয়নপত্র তিনি সংগ্রহ করেননি।
কাগজ ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে এম এম শাহীন এর সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইলফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) ছিলেন এম এম শাহীন। সে নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে এর আগে একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদের বিতর্কিত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এম এম শাহীন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী নওয়াব আলী আব্বাস খানের কাছে পরাজিত হন এম এম শাহীন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিকল্পধারায় যোগদান করে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা নিয়ে পরাজিত তিনি।