কুশিয়ারা নদীতে নৌকাবাইচ দেখতে দুইপাড়ে মানুষের ঢল
মৌলভীবাজারের শেরপুরে কুশিয়ারা নদীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে নদীর দুই পাড়ে সমাগম ঘটে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে দর্শকদের করতালি আর বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি ও বৈঠার তালে তালে অনন্য ঢেউ খেলে কুশিয়ারা নদী তীরের মানুষের মধ্যে। ঢোল ও তবলার তাল, আর বৈঠার স্পন্দনের মুহুর্মুহু তরঙ্গ দর্শকের মনে আনন্দের ঢেউ তোলে।
শেরপুরে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ। মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরের হামরকোনা গ্রামবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪টি নৌকা অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী নৌকার মধ্যে চারটি নৌকাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতার ফাইনাল রাউন্ড শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান।
প্রথম পুরস্কার (মোটরসাইকেল) অর্জন করে মৌলভীবাজারের রাজনগরের শাহ্ মোস্তফার তরী, দ্বিতীয় পুরস্কার (ফ্রিজ) অর্জন করে মৌলভীবাজারের রাজনগরের শাহ্ পরানের তরী, তৃতীয় পুরস্কার (এলইডি টিভি) অর্জন করে শেরপুর হামরকোনা গ্রামের কুশিয়ার তরী ও চতুর্থ পুরস্কার (মোবাইল হ্যান্ডসেট) অর্জন করে সিলেটের উসমানী নগরের কানাই শাহ্ তরী।
মো. কর্নেল আহমদের সভাপতিত্বে ও মুদরত আহমদ ও সাজন আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ মুকিত, বদরুল আলম, হেলু মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মমসাদ আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, ইছহাক আহমদ চৌধুরী মামনুন, আমিরুল ইসলাম সাহেদ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছুরুক আলম, খালেদ আহমদ নসির মিয়া প্রমুখ।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।