নগদ টাকায় স্ত্রীর কাছে পিছিয়ে নৌকার প্রার্থী গোলাপ
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন মো. আব্দুস সোবহান গোলাপ। জয়ী হয়ে সংসদে যান তিনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গোলাপের ওপর ভরসা আওয়ামী লীগের। তাই ক্ষমতাসীন দল আবারও মনোনয়ন দিয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্যকেই। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হলফনামা জমা দিয়েছেন তিনি। সেই হলফনামায় দেখা যায়, তার স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ গোলাপের চেয়েও বেশি।
গত পাঁচ বছরে গোলাপের স্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। তবে, গোলাপের বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। পাঁচ বছরে তার বাড়ি ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৯২ হাজার ৮১৩ টাকা। এ ছাড়া গোলাপ গত পাঁচ বছরে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ির মালিক হয়েছেন। যার বাজার মূল্য ৯০ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭ টাকা।
হলফনামায় নিজের পেশায় রাজনীতিবিদ লিখেছেন গোলাপ। তার কাছে নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত আছে এক কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার ৫৪৫ টাকা। এর মধ্যে নগদ আছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৪ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার কাছে নগদ ছিল ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা। এ সময়ে ব্যাংকে ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামায় গোলাপের স্ত্রীর নগদ ছিল এক কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৮০ লাখ টাকা। এ সময়ে ব্যাংকে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র, বণ্ড ও কোম্পানির শেয়ারের মাধ্যমে তার ছিল পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। এ সময়ে তার কাছে নগদ আছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৬ টাকা। সঞ্চয়পত্র, বণ্ড ও কোম্পানির শেয়ারের মাধ্যমে তার কাছে ছিল পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার।
সম্পদের দিকে দিয়ে যদিও পিছিয়ে নেই গোলাপ। ২০১৮ সালে তার কোনো গাড়ি না থাকলেও ২০২৩ সালে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ির মালিক হয়েছেন তিনি, যার বাজার মূল্য ৯০ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭ টাকা। তবে, তার স্ত্রীর কোনো গাড়ি নেই। আর স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই স্বর্ণের হিসাব সমান-সমান। ২০১৮ ও ২০২৩ সালে স্বামী-স্ত্রীর স্বর্ণের পরিমাণ একই ছিল। এই পাঁচ বছরে বাড়েনি। হলফনামা বলছে, তাদের কাছে আগেও ৫০ ভরি স্বর্ণ করে মোট ১০০ ভরি স্বর্ণ ছিল, এখনও সেটিই আছে। যদিও তার মূল্য লেখা হয়নি হলফনামায়।
গোলাপের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মিরপুরে ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৬০ টাকা আবাসন ও ও স্ত্রীর উত্তরায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের আবাসন। অপরদিকে, ২০২৩ সালের হলফনামায় দেখা গেছে তার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে ও স্ত্রীর ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।