আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মূর্খ বললেন জাপা মহাসচিব চুন্নু
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/12/23/jaatiiyy_paarttir_mhaascib_mujibul_hk_cunnu.jpg)
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা না পেয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁর দলের স্বার্থে গুরুত্ব বুঝেই আমাকে বঙ্গবন্ধুর নৌকা দিয়েছেন। কিন্তু যারা ব্যক্তি স্বার্থে তা না বুঝে রাজনীতি করে বিরোধীতা করছেন, তারা মূর্খ।’
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাবার মার্কা নৌকা, ওনার (শেখ হাসিনার) বাবা ৭০ সালে এই নৌকা দিয়ে ইলেকশন করেছেন। পরে শেখ হাসিনা তাঁর মার্কা নিয়ে এত জনপ্রিয় হয়েছেন। নিশ্চয়ই একটা কিছু গুরুত্ব আছে, নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। আওয়ামী লীগের লোকেদের এটা বুঝা উচিৎ। তবে উনারা বুঝবে, খুব তাড়াতাড়ি বুঝবে। অবশ্য, যাদের ব্যক্তি স্বার্থ আছে তারা কখনোই বুঝবে না।’
মুজিবুল হক চুন্নু শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে তার নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চুন্নু বলেন, ‘আপনাদেরকে বলব যে, আমি নির্বাচনে এমপি হইলে একটা কিছু হয়ে গেলাম, তা না। মন্ত্রী হইলে কিছু হয়ে গেলাম তা না। এগুলো আমার জন্য পুরোনো, মন্ত্রি-এমপি অনেকবার হয়েছি। নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য কিছু করতে পারাটাই বড় উদ্দেশ্য।’
এর আগে নির্বাচনি পোস্টারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি নিজেকে ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ হিসেবে উল্লেখ করেন চুন্নু। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
অনেকের মতে, কৌশল করে নৌকাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চুন্নুর জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। এবার কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে। আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এডিসি মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (কাঁচি), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূঁইয়া (কেটলি) ও মো. রুবেল মিয়া (ট্রাক)।
গোলাম কবীর ভূঁইয়া জানান, এই আসনটি জাতীয় পার্টির কবল থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য স্বতন্ত্র চারজনের মধ্যে থেকে একজনকে রেখে বাকিরা বসে যাবেন। এরকম একটা আলোচনা নিজেদের মধ্যে চলছে।