ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন : ১২ দলীয় জোট
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/04/12_dliiyy_jott.jpg)
দেশবাসীকে একদলীয় সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগ মনোনীত ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই নির্বাচন জনগণের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বাকশালী অবস্থান। কারণ এই ‘ডামি নির্বাচন’ সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক, পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ তারিখের ডামি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আওয়ামী লীগের, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের। জনগণের পকেটের টাকায় মামা আর ভাগিনার লুটপাটের মেলা সাজানো হয়েছে। আসুন সবাই ৭ তারিখ ভোট বর্জন করি। শেখ হাসিনাকে না বলি।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ ও দেশের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবে। তবে ৭ তারিখ আওয়ামী লীগের মনোনীত ডামি প্রার্থীদের ভোট দিতে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। শুধু মাত্র আগামী ৭ তারিখ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন অবৈধ এমপিদের নাম ঘোষণা করার আনুষ্ঠানিকতা হবে। আসুন আমরা সবাই ৭ তারিখ বর্জন করি। শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হই।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার ভোটের নামে নাটক মঞ্চস্থ করতে চলেছে। এই নির্বাচন দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বরং দেশকে ধ্বংস করবে। তাই আসুন সবাই মিলে নির্বাচন বর্জন করি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটের আগে ওমরা আর মাজার জিয়ারত করে বাংলার মুসলিম ভোটারদের সন্তুষ্ট করতে চায়। নির্বাচনি নাটক আর প্রচারণার নাটক মঞ্চস্থ করা বন্ধ করুন। ৭ তারিখ দেশে কোন ভোট হবে না।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।