জামালপুরে আ.লীগ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসান ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনি প্রচারের মিছিল নিয়ে উপজেলার শিমলা বাজারে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্পের সামনে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় হঠাৎ ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল (৩৫), মাইজবাড়ী এলাকার দিলখুশ (৩৫), শিমলাপল্লী এলাকার রিপন (৩৫), শিমলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছোটন (৩৫), শুয়াকৈর এলাকার সজিব মিয়া (৩৫), কামরাবাদ এলাকার সানজিদা (৩২) আহত হন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সমর্থক বড়বাড়িয়া গ্রামের মোতালেব (২৮), সোনাকান্দর এলাকার বিপ্লব (৩৫), চর বড়বাড়িয়া গ্রামের রুবেল (৩০), একই এলাকার শান্ত (২৩) আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদের সমর্থকরা পরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় নৌকার মিছিল দেখে আমি আমাদের কর্মীদের ভেতরে সরিয়ে দিয়ে চায়ের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, মির্জাল, নুরুল, জহুরুলসহ কয়েকজন আমাকে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসে এবং আমার ওপর হামলা করে আহত করে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’