নির্বাচনি সহিংসতায় হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২৫
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ভোট গণনার কাজ চলছে। এ ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। সারা দিনের ভোটগ্রহণের সময় বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জ থেকে এনটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক মঈনউদ্দিন সুমন জানান, গজারিয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ দুপুর ১টার দিকে গজারিয়ার ইসমানিচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসমানিচর কেন্দ্রের বাইরে আনারস ও কাপ পিরিচ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেয়। ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
গজারিয়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, হোসেন্দি কেন্দ্রে এক পক্ষের সর্মথকরা কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। তবে হামলাকারীরা ব্যালট পেপারের সিল নিয়ে যায়। তাই ভোট কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে।
নরসিংদী থেকে এনটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, কেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে সদরের কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার আহমেদ জানান, সংঘর্ষে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ।
জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নরসিংদীতে একটি কেন্দ্রের বাইরে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর থেকে প্রতিনিধি এম আর মুর্তজা জানান, সদর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষই অন্তত ৫০টি হাত বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আহত হয়েছেন সাধারণ এক ভোটারসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। বুধবার বেলা পোনে ১১টার দিকে ৯৫ নং বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজি হয়েছে।