এক্সপোজার সীমার বাইরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে তফসিলি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের (সাবসিডিয়ারি) বিনিয়োগকে এক্সপোজার সীমার বাইরে ধরা হবে। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত অর্থকে বাড়তি বিনিয়োগের আওতায় ধরা হবে না।’
এতে আরো বলা হয়, ‘পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকসমূহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিনিয়োগ সংক্রান্ত ঝুঁকি ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। একই সঙ্গে গতিশীল পুঁজিবাজার গড়তে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত সমর্থন প্রদানও অব্যাহত রয়েছে।’
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বর্ণিত সংশোধনীর আলোকে ব্যাংকগুলোর প্রতি মাসে দাখিল করা পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণীর ছক সংশোধন করা হয়েছে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ আরো বাড়বে। ফলে গতিশীল হবে বাজার। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে যার ইতিবাচক প্রভাব।
২০১৩ সালে কোম্পানি আইনকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা দেখা দেয় শেয়ারবাজারে। বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা শেষে দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে বিষয়টির সুরাহা করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি) থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৫-এর অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো নমনীয় হওয়া উচিত। বিষয়টি খুব দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।