জাবির শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের অভিযোগ দেওয়ালে দেওয়ালে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের সঙ্গে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকার ছবি সাঁটানো হয়েছে ক্যাম্পাসের দেওয়ালে। ছবির শিরোনামে শিক্ষিকার নিয়োগকে করা হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা। যদিও তা অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশের তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও মুরাদ চত্বরসহ বিভিন্ন দেওয়ালে ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার ছবি সাঁটিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। সেই অভিযোগে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা অনেকটাই কূরুচিপূর্ণ। ফলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। পক্ষে-বিপক্ষে বইছে সমালোচনা।
পোস্টারের ওই শিক্ষকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচি।
জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেটে আনিকা বুশরা বৈচির নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।
‘ছবিটি বিভাগের অফিসকক্ষে তোলা হয়’ দাবি করে মাহমুদুর রহমান জনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এক সময় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। তখন অনেকেই আমার সঙ্গে সেলফি তুলত। এটি সেরকমই একটা সেলফি।’
সেলফিকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজটি করা হয়েছে’ উল্লেখ করে এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘বৈচি আমার বিভাগের ৪২ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমি যখন শিক্ষক হই, তখন তারা থিসিসের স্টুডেন্ট। তাই এই ব্যাচটার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। বিভাগের সবার সঙ্গে যখন সার্ক ট্যুরে গিয়েছিলাম, তখন আরও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁর নিয়োগে সুপারিশ কিংবা তদবিরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টার পরও অনিকা বুশরা বৈচির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও জবাব দেননি।
নিয়োগে সুপারিশ সম্পূর্ণ নাকচ করে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমেকে বলেন, ‘পোস্টারের বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে, তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানা নেই। নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা রেজাল্টকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিই। এক্ষেত্রে কারও সুপারিশের সুযোগ নেই।’