বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক এবং বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আবদুল জলিলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ায় তাঁদের সংবর্ধনা দেয় ‘বাংলাকে ভালোবাসি’ নামে এক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এর আগে তাঁদের ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন সংগঠনটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম নুরুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।

সংবর্ধনা পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক বলেন, ‘আমার গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না। সাঁতরে নদী পাড় হয়ে স্কুলে গিয়েছি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে এই পর্যন্ত ওঠে এসেছি। সামাজিক দায়িত্ব ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের কারণে লেখালেখিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। আমাদের লোকসংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। সেটি নিয়ে আমি সামান্য কাজ করতে পেরেছি। বাংলাকে‌ ভালোবাসলে, লোকসংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে ও ফোকলোরকে ভালোবাসাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল বলেন, ‘অধ্যাপক খালেক জ্ঞানের বৃক্ষ। আমার যা কিছু গৌরব তার সব কিছু খালেক স্যারের জন্য। আমি প্রতি মুহুর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। লোকশিল্প থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু নিয়ে সব ক্ষেত্রে লিখেছি। উনি প্রতি মুহুর্তে আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষাগুরু আশ্রয়, প্রশ্রয় ও নির্দেশ সাহস দিয়েছেন। যার আশির্বাদে আমি কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। প্রিয় শিক্ষকদের আশির্বাদে সামনে আরও কাজ করে যেতে চাই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাকে ভালোবাসির সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ নূরুল্লাহ বলেন, ‘এই দুইজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষককে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় বেশ আনন্দিত ও গর্বিত। সেই সঙ্গে এই দুইজন প্রথিতযশা গবেষক তাঁদের গবেষণাকর্ম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রেখে জাতিকে আরও আলোকিত করবেন বলে আশা রাখছি।’

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাশেদা খালেক, সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ড. এম. আনিসুর রহমান, সহসভাপতি ড. হাসিবুল আলম প্রধান, কোষাধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ড. মাহমুদা আকতার, সাদিকুল ইসলাম সাগর, মো. মামুনুর রশীদ সরকার, হাসান ইমাম সুইট প্রমুখ।