আয় বাড়লেও কনফিডেন্স সিমেন্টের ডিভিডেন্ড বাড়েনি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/11/19/cement-logo-fpng.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্টের ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) আয় বেড়েছে ১৬৫ শতাংশ। গতকাল শনিবার সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। অবশ্য এর আগের কোম্পানিটি ২০২১-২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩১ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় ছিল এক টাকা ২৫ পয়সা। এই সময়ের ব্যবধানে আয় বেড়েছে দুই টাকা ৬ পয়সা বা ১৬৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। সমাপ্ত অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ পাঁচ টাকা ৩১ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল নেগেটিভ ১৩ টাকা ১৫ পয়সা।
গত ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে সমন্বিত এনএভিপিএস ছিল ৭১ টাকা ৭৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কনফিডেন্স সিমেন্ট। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮২ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৮টি। রোববার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৮৯ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্ত পরিচালক ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।