চতুর্থ দিনের প্রথমভাগে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৫ জন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল আবেদন শুনানির চতুর্থ দিনের প্রথমভাগে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫ জন ও নামঞ্জুর হয়েছে ৩২ জনের। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ৫৯টি আপিল শুনানি হয়। এর মধ্যে একটি আপিল স্থগিত রয়েছে।
এর আগে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন।
বুধবার মোট ২৬টি আপিল মঞ্জুর করে কমিশন। এর মধ্যে একটি আপিল ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণা করা বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ওই আপিল মঞ্জুর করেন কমিশন। ফলে, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের (বাবুল) মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন একই আসনের আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মণ্ডল।
গত রোববার প্রথম দিনে ৯৪টি আপিল আবেদন শুনানি করে নির্বাচন কমিশন ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় ও ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর করে। ছয়টি আপিলের রায় স্থগিত রাখা হয়। আর চারটি আপিলের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন। আর দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানিতে ৫১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৪১ জনের। আর আটটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে ৯৮টি আপিল শুনানি হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পান ৬১ জন ও নামঞ্জুর করা হয় ৩৫ জনের। আর দুটি আপিল স্থগিত রাখা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র। যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।