ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ওরিয়ন গ্রুপের দুই কোম্পানির শেয়ার আজ লেনদেনের শীর্ষে ওঠে এসেছে। কোম্পানি দুটি হলো- ওরিয়ন ফার্মা ও ওরিয়ন ইনফিউশন। ওরিয়ন ফার্মা এদিনে লেনদেন হয়েছে শত কোটি টাকার শেয়ার। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে ওঠে আসে। অপরদিক ওরিয়ন ইনফিউশনে লেনদেন হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার শেয়ার। এতে কোম্পানিটি শেয়ার লেনদেনের শীর্ষ দ্বিতীয়তে ওঠে আসে। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৭৯ টাকা ৬০ পয়সা। আজ বুধবার কোম্পানিটির সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে চার টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৭১ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করেছে। কোম্পানিটির এক কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ১৫৪টি শেয়ার ১১ হাজার ৫৪৫ বার হাতবদল হয়। লেনদেনে হয় ১০০ কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার টাকার শেয়ার।
অপরদিক গতকা মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৬২৪ টাকা ৩০ পয়সা। আজ বুধবার কোম্পানিটির সমাপনী দর ছিল ৬৬১ টাকা ১০ পয়সা। এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬২০ টাকা থেকে ৬৬৯ টাকায় ওঠানামা করেছে। কোম্পানিটি আট লাখ ৬০ হাজার ১০৭টি শেয়ার পাঁচ হাজার ৬৮১ বার হাতবদল হয়। আর লেনদেন হয় ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার।
কোম্পানির দেওয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে ওরিয়ন ফার্মার সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ১৯ পয়সা। এ সময়ের ব্যবধানে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৭২ পয়সা বা ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৯১ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৬৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল পাঁচ টাকা ৬২ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়নসহ ৮৯ টাকা ৬৯ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৪ কোটি টাকা। শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৪০ লাখ। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
অপরদিক চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৪০ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা সাত পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা তিন পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৪০ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৩ পয়সা।
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা দুই কোটি তিন লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।