১১৮ টাকা কমে ন্যাশনাল টি পতনের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক কোম্পানি ন্যাশনাল টির গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১১৮ টাকা। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল টির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৩৬৮ টাকা ৯০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহের একই দিনে (১১ সেপ্টেম্বর) ছিল ৪৮৬ টাকা ৯০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১১৮ টাকা বা ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে ন্যাশনাল টির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বা তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১০৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৬ টাকা দুই পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ ৭৭ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ১৫২ টাকা ২৯ পয়সা।
গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৯৬ টাকা ২৪ পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল ৭৪ টাকা ৭৭ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৪৮ টাকা ১৯ পয়সা।
১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ন্যাশনাল টি। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৬৬ লাখ। রিজার্ভে রয়েছে নেগেটিভ ৩৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সরকারি বিনিয়োগ চার দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।