পাসের হারের পাশাপাশি কমেছে জিপিএ ৫
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। ফল গতবারের চেয়ে খারাপ হয়েছে। এর পাশাপাশি কমেছে জিপিএ ৫।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় ফল কেন খারাপ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবারের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, এবার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম পাস করেছে।
এর মধ্যে এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ ফল গতবার ছিল ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন। আর গতবার জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫০ জন।
এবার মাদ্রাসায় পাসের হার ৭৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। গতবারের চেয়ে ১১ শতাংশ কম পাস করেছে। এবার এখানে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক হাজার ৮১৫ জন।
আর কারিগরি শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ৬৬৯ জন। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এবার পাস কম করায় আমরা বিস্মিত হইনি। পরীক্ষার খাতা ভালোভাবে মূল্যায়ন করার কারণেই এ ফল হয়েছে। গত মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। এসএসসিতে গতবারের চেয়ে ৮ শতাংশ পাস করেছে। সে ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে এইচএসসিতে কম খারাপ হয়েছে; বরং এটা সাফল্য।’
এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো করেছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এবার ২ দশমিক ৮২ ভাগ বেশি পাস করেছে।
মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় আট হাজার ৮৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন।
এবার মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন। এবার গতবারের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী কম পাস করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ফল জানতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত। এর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর এনটিভি অনলাইনের www.ntvbd.com/result/hsc-result-2017/ লিংকের মাধ্যমেও পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
গত ২ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন। আর ছাত্রী পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন। সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।